"লবণ চাষে স্বাবলম্বী হবো- দেশের লবনেই চাহিদা মেটাব" এই অমূল্য শ্লোগানকে সঙ্গী করে আমরা ১লা মে, ২০২২ তারিখে মহেশখালী, কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠিত 'লবণ চাষী কল্যাণ সমিতি'। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে লবণ চাষীদের অধিকার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তারা তাদের উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন।
লবণ চাষীরা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং তাদের উন্নতির জন্য উপযুক্ত সাহায্য ও সহায়তার ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের যাত্রা শুরু।
প্রিয় লবণ চাষী বন্ধুরা,
আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে আপনাদের সকলের সহায়তায় 'লবণ চাষী কল্যাণ সমিতি' আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। আমরা এযাবৎকাল যে সকল প্রচেষ্টা ও নীতিগত কর্মসূচী গ্রহণ করেছি, তার সকলটার কেন্দ্রে রয়েছে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের কল্যাণ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মৌলিক সেবা প্রদান এবং বাস্তবসম্মত পন্থায় লবণ চাষীদের উন্নয়ন ঘটানো।
কৃষি আমাদের জাতির অর্থনীতির মূল ভিত্তি এবং লবণ চাষকেরা তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই নেতৃত্ব দিতে, আমাদের উচিত যেন কৃষকদের স্বার্থের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। আমরা আমাদের সকল সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ, তথ্য এবং সম্ভাব্যতার ক্ষেত্র তৈরি করতে কাজ করছি, যাতে তারা তথ্যপ্রযুক্তি এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ওপরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হন।
আমি আমাদের সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে আহ্বান জানাই, আসুন সবাই মিলে একযোগে চেষ্টা করি যার ফলে উন্নত ও স্বাবলম্বী লবণ চাষীর সমাজ তৈরি করা সম্ভব হবে। আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ।
ঢাকা সেল কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কুটির শিল্প কর্পোরেশনের সহযোগিতায় লবণ শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা লবণের কোয়ালিটি কন্ট্রোল এবং কোয়ালিটি এসুরেন্সসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
আজকের শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দেশের লবণ উৎপাদনকে প্রাধান্য দিতে আগামী কিছু সময়ের জন্য লবণ আমদানি বন্ধ থাকবে। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব লবণ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সুসংবাদ।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) আয়োজনে লবণ উৎপাদনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে লবণ চাষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
+880 1833-992324